মোস্তাফা জব্বার
॥ পাঁচ ॥
ঈ. ডজিটিাল শক্ষিা : র্বতমান সরকার শক্ষিাক্ষত্রেে অভাবনীয় সফলতা র্অজন করছে;ে সইে বষিয়ে এমনকি সরকাররে নন্দিুকরোও প্রশ্ন তোলনে না। এই প্রথম দশেরে একটি শক্ষিানীতি নয়িে তমেন কোন বর্তিক হয়নি এবং সকল স্তররে মানুষরে কাছে সটেি গৃহীত হয়ছে।ে প্রাথমকি ও নম্নি মাধ্যমকি স্তররে পাবলকি পরীক্ষার প্রচলন করা ছাড়াও বনিামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদানরে সরকারী সদ্ধিান্ত পুরো দশেরে মানুষরে প্রশংসা পয়েছে।ে একই সাথে একটি ডজিটিাল শক্ষিাব্যবস্থা প্রচলনে সরকাররে আন্তরকিতা সকল মহলে প্রশংসতি হয়ছে।ে সরকার তথ্যপ্রযুক্তি শক্ষিা ও শক্ষিায় তথ্যপ্রযুক্তরি ব্যবহার বষিয়ে একটি নীতমিালা ও র্কমপরকিল্পনা প্রণয়ন করছেে এবং তার বাস্তবায়নরে জন্য ব্যাপক র্কমকা- গ্রহণ করছে।ে
সরকাররে হাতে শক্ষিার ডজিটিাল যাত্রার সবচয়েে বড় যে প্রকল্পটি এখন রয়ছেে সটেি হলো ২০ হাজার ৫০০ শক্ষিা প্রতষ্ঠিানে ল্যাপটপ ও প্রজক্টের প্রদান করে র্স্মাট ক্লাসরুম গড়ে তোলা। ৩ হাজার ৫৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন বাস্তবায়নাধীন রয়ছে।ে এরই মাঝে সরকার এই ধারণার প্রাথমকি প্রয়োগরে কাজটি শুরু করছে।ে দশেরে র্সবত্র শক্ষিক প্রশক্ষিণ কন্দ্রেগুলোতে ইন্টারএ্যাকটভি ও ডজিটিাল শক্ষিা কনটন্টেস তরৈরি প্রশক্ষিণ দয়ো হচ্ছ।ে শক্ষিকরা ডজিটিাল কনটন্টেস তরৈি করছনে এবং সইেসব তথ্যবলী সকলরে জন্য উন্মুক্ত করা হয়ছে।ে বশে কছিু শক্ষিা প্রতষ্ঠিানে ডজিটিাল শক্ষিার বাস্তব প্রয়োগ করা হয়ছে।ে অনকে শক্ষিা প্রতষ্ঠিানে ডজিটিাল ক্লাসরুম চালু হয়ছেে এবং র্পযায়ক্রমে সকল শক্ষিা প্রতষ্ঠিানরে সকল ক্লাসরুম ডজিটিাল করার পরকিল্পনা গ্রহণ করা হয়ছে।ে বজিয় ডজিটিাল নামক একটি প্রতষ্ঠিান প্রি স্কুল র্পযায়রে পাঠ্য বষিয়কে ডজিটিাল কনটন্টেে রূপান্তর করছে।ে র্পাবত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোড প্রাথমকি র্পযায়রে পাঠ্য বষিয়কে সফটওয়্যারে রূপান্তর করছে।ে ২০১৩ সালে পাঠক্রম পরর্বিতন সমাপ্ত হলে প্রাথমকি ও মাধ্যমকিসহ সকল স্তররে পাঠ্যপুস্তককে ডজিটিাল রূপান্তর করা হবে বলে আশা করা যায়। এরই মাঝে সরকার ৩ হাজাররেও বশেি শক্ষিা প্রতষ্ঠিানে কম্পউিটার ল্যাব গড়ে তুলছে।ে বগিত তনি বছর যাবতই এই প্রচষ্টো অব্যাহত রয়ছে।ে আগামীতওে এই র্কাযক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। সরকার ২০১২ সাল থকেে ষষ্ঠ শ্রণেীতে কম্পউিটার শক্ষিা বাধ্যতামূলক করছে।ে ২০১৩ সালে ৭ম-৮ম ও ৯ম শ্রণেীতে বষিয়টি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছ।ে ঢাকার কাছে গাজীপুরে ডজিটিাল বশ্বিবদ্যিালয় স্থাপনরে উদ্যোগ নয়ো হয়ছে।ে শাহজালাল, ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে টএিসস,ি জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়ে সীমতি র্পযায়রে ওয়াইম্যাক্স চালু করা হয়ছে।ে ২০১১ সাল থকেইে এনসটিবিরি সকল পাঠ্যপুস্তক ইন্টারনটেে পাওয়া যাচ্ছ।ে বভিন্নি শক্ষিা প্রতষ্ঠিান ও সরকারী-বসেরকারী গ্রন্থাগাররে ব্যবস্থাপনা ডজিটিাল করার পাশাপাশি ডজিটিাল লাইব্ররেি ও ই-তথ্যভা-ার গড়ে তোলা হচ্ছে যা শক্ষর্িাথীদরে জ্ঞান র্অজনরে সহায়ক হয়ছে।ে
উ. সচতেনতা বৃদ্ধি : এ বষিয়ে সকলইে একমত য,ে ডজিটিাল বাংলাদশে ঘোষণাটি নজিইে একটি বড় ধরনরে র্অজন ও বরিাট রকমরে সচতেনতা র্কমসূচী। আমরা মনে কর,ি ডজিটিাল বাংলাদশে ঘোষণাটইি হচ্ছে একটি বড় র্অজন। এর ফলে দশে-বদিশেে বাংলাদশে তার ভাবর্মূতকিে উজ্জ্বল করছে।ে আমরা লক্ষ্য করছে,ি এই সময়ে ডজিটিাল বাংলাদশে বষিয়ে ব্যাপক সচতেনতামূলক কাজ হয়ছে।ে বাংলাদশে কম্পউিটার সমতি,ি বসেসি ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি সরকার ডজিটিাল উদ্ভাবনী মলোকে জলো র্পযায় র্পযন্ত ছড়য়িে দয়িছে।ে এই সময়রে একটি বড় ঘটনা ছলি ২০০৯ সালে বাংলাদশে কম্পউিটার সমতিি র্কতৃক ডজিটিাল বাংলাদশে সামটিরে আয়োজন করা এবং ২০১১ সালে ই-এশয়িার মতো বশিাল একটি সম্মলেনরে আয়োজন করা। ডজিটিাল বাংলাদশে ঘোষণার জন্য এসোসওি নামক একটি প্রতষ্ঠিান প্রধানমন্ত্রীকে বশিষে পুরস্কারও প্রদান কর।ে
গ. ডজিটিাল জীবনধারার সূচনা : বাংলাদশেরে মানুষ এরই মাঝে একটি ডজিটিাল যুগরে বাসন্দিা হবার স্বাদ নতিে শুরু করছে।ে ডজিটিাল জীবনধারা হচ্ছে একটি জাত-িগোষ্ঠীর র্সাবকি জীবনধারাকে ডজিটিাল রূপান্তররে মাঝে নয়িে যাওয়া। ডজিটিাল বাংলাদশেরে কথা বলার মানইে হচ্ছে সইে জীবনধারা গড়ে তোলা। আমরা লক্ষ্য করছেি য,ে আমাদরে দশেরে মানুষরে হাতে ডজিটিাল ডভিাইস বশে দ্রুতগততিে পৗেঁছাচ্ছ।ে দশেরে র্অধকে জনগোষ্ঠীর হাতে মোবাইল ফোন আছ।ে আছে ইন্টারনটে এবং আরও ডজিটিাল প্রযুক্ত।ি এখন মানুষ যে পরমিাণ কাগজে যোগাযোগ করে তার চাইতে অনকে বশেি যোগাযোগ করে ইন্টারনটে।ে ই-মইেল এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামরে মানুষরে কাছওে নতুন কছিু নয়। তারা দশেরে ভতেরে ও বাইরে টক্সেট, ছব,ি অডওি-ভডিওি আদান প্রদান কর।ে স্কাইপরে মতো এ্যাপ্লকিশেন দয়িে ভডিওি কনফারন্সেংি করা বা কথা বলা খুবই সাধারণ বষিয়ে পরণিত হয়ছে।ে ফসেবুকরে মতো সামাজকি যোগাযোগ নটেওর্য়াক বাংলাদশেে ব্যাপকভাবে জনপ্রয়ি। আমরা এরই মাঝে ই-কর্মাস, মোবাইল কর্মাস ও মোবাইল ব্যাংকংিয়রে যুগে প্রবশে করছে।ি অনলাইনে লখোপড়া করা, বনিোদন পাওয়া, টভিি দখো বা খবর পড়া বাংলাদশেরে মানুষরে দনৈন্দনি বষিয়ে পরণিত হয়ছে।ে
ঘ. র্সবজনীন সংযুক্তরি প্রসার : দশেে এখন র্৪থ জনোরশেনরে ইন্টারনটে সবো বা ওয়াইম্যাক্স রয়ছে।ে অন্তত দুটি প্রতষ্ঠিান ঢাকা, বভিাগীয় শহর ও কোন কোন জলো শহরে এই সবো প্রদান করছ।ে মোবাইলে ইন্টারনটে ব্যবহার ব্যাপকহারে বড়েছে।ে প্রায় তনি কোটি মানুষ এখন ইন্টারনটে ব্যবহার কর।ে তবে এই হার আরও বহুগুণ বড়েে যাবে যখন আমরা থ্রজিি বা ৪জি মোবাইলরে যুগে পৗেঁছব। আশা করা হচ্ছে য,ে এই বছররে মাঝইে থ্রজিি চালু হবে এবং লাইসন্সেও প্রদান করা হব।ে
ঙ. র্কম পরকিল্পনা : র্সাবকিভাবে বারো বছর ময়োদী একটি মহাযজ্ঞরে সূচনা হসিবেে ২০০৯ থকেে এখন র্পযন্ত সরকার যসেব পদক্ষপে নয়িছেে তাকে কবেল প্রকৃষ্ট বললইে যথষ্টে বলা হবে না বরং এই সময়রে মাঝে একটি সভ্যতার রূপান্তররে জন্য প্রাথমকি ভতি রচনায় পাওয়া গছেে অভাবনীয় সফলতা। কন্তিু প্রশ্ন হচ্ছে এই সফলতা কি ধরে রাখা যাব?ে প্রথমত এই মূল্যায়ন করা প্রয়োজন যে ডজিটিাল বাংলাদশে গড়ে তোলার জন্য আগামী দনিরে পরকিল্পনাগুলো কি সঠকি রয়ছে।ে দ্বতিীয়ত একটি শঙ্কা সকলরে মাঝইে কাজ করছে য,ে আগামীতে যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসতে পারে তবে ডজিটিাল বাংলাদশে র্কমসূচীর কি হব।ে
প্রথমত সরকাররে পরকিল্পনার কথাই বলতে হয়। আমি মনে করি এখন র্পযন্ত যে ধরনরে কাজ করা হয়ছেে তার মাঝে র্সাবকি সমন্বয় খুব জরুরী ছলি না। বগিত দনিে মোটামুটভিাবে সকলে মলিইে প্রাথমকি কাজগুলো এমনকি আলাদা আলাদাভাবইে করা সম্ভব হয়ছে।ে কন্তিু বাস্তবতা হচ্ছ,ে আগামীতে সরকারী কাজরে সমন্বয়টি আরও পরকিল্পতি হতে হব।ে সরকার এরই মাঝে আইসটিি মন্ত্রণালয় গড়ে তুলছে।ে ফলে সমন্বয়রে প্রাতষ্ঠিানকি ভতি তরৈি হয়ছে।ে যদি এই মন্ত্রণালয়কে ডজিটিাল বাংলাদশে গড়ার কাজটরি সমন্বয় করতে দয়ো হয় তবে আলগা আলগা কাজ করার বষিয়টি সমন্বতি হয়ে যাব।ে প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়রে এটুআই থকেে সরকারকে ডজিটিাল করার যসেব প্রচষ্টো এককভাবে করা হচ্ছে সটেি যদি আইসটিি মন্ত্রণালয়রে সমন্বয়ে করা হয়। তবে র্সাবকিভাবে কাজরে অগ্রগতওি বশেি হব।ে এমনকি আইসটিি মন্ত্রণালয় গড়ে তোলার র্সাথকতাও তখন খুঁজে পাওয়া যাব।ে
অন্যদকিে একটি র্দুবলতার কথা স্পষ্ট করে বলা উচতি। ডজিটিাল বাংলাদশে র্কমসূচীকে রাজনতৈকিভাবে যতটা সম্প্রসারতি করা উচতি ছলি সটেি তমেনভাবে করা হয়ন।ি এজন্য রাজনতৈকিভাবে ডজিটিাল বাংলাদশে র্কমসূচী, এর ধারণা, কাজরে গত,ি পরকিল্পনা ও নীতমিালাসমূহ রাজনতৈকি আলোচনার বষিয় হসিবেে তৃণমূল র্পযায়ে ছড়য়িে দতিে হব।ে
ডজিটিাল বাংলাদশে বষিয়ক অগ্রগতরি বপিরীতে একটি শঙ্কার কথা আমরা প্রায়ই শুন।ি আমরা যদি বাংলাদশেরে স্বাধীনতার সময়কাল থকেে এখন র্পযন্ত কবেলমাত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতরে উন্নয়ন ও বকিাশরে বষিয়টি র্পযালোচনা করি তবে দখেব যে আওয়ামী লীগরে সময়কালে যে ধরনরে র্কাযক্রম গ্রহণ করা হয় সটেি পরর্বতী সরকার (কাকতালীয়ভাবে বএিনপ)ি ক্ষমতায় আসার পরই বন্ধ করে দয়ে। আমরা ২০০১ সালরে খালদো জয়িার সরকাররে র্কমকা- র্পযালোচনা করলে এই বষিয়টি খুবই স্পষ্টভাবে শনাক্ত করতে পারব। আওয়ামী লীগ সইে সময়ে আইসটিরি উন্নয়নে যসেব পদক্ষপে নয়িছেলি তার সবই বন্ধ করে দয়ো হয়। ফলে ২০১৪ সালরে নর্বিাচনে যদি আওয়ামী লীগ না জতেে এবং বএিনপি যদি সরকার গঠন করে তবে এখনকার সচল চাকাটওি অচল হয়ে যাবে এবং ২০২১ সালে আমরা ডজিটিাল বাংলাদশেরে যে স্বপ্ন দখেছি সটেি হয়ত অর্পূণই থকেে যাব।ে এজন্য সরকাররে একটি ধারাবাহকিতা তরৈি হতে হবে যাতে অগ্রগতরি চাকাটি থমেে না যায়।
পাঁচ ॥ একুশরে আগইে : স্বাধীনতার চার দশক পর বাঙালী জাতি তার যে স্বপ্নটাকে ডজিটিাল বাংলাদশে নামাঙ্কতি করছেে মহাজোট সরকার তাকে যথাসম্ভব আন্তরকিতার সাথইে পূরণ করার চষ্টো করে যাচ্ছ।ে এর আগে আর কখনও এমন সময় আসনেি যখন এমনভাবে সমাজরে ডজিটিাল রূপান্তররে বষিয়টি গুরুত্ব পয়েছে।ে যমেনি করে সরকার বষিয়টকিে সামনে তুলে এনছেে তমেনি করে বসেরকারী খাতওে এসছেে প্রাণচাঞ্চল্য। এরই মাঝে আমাদরে সফটওয়্যার ও সবোখাতরে রফতানি বড়েছে।ে তরৈি হয়ছেে আউটর্সোসংি নামক একটি নতুন সম্ভাবনাময় খাত।
আশা করা যায়, আমরা হয়তো ২০২১ সাল র্পযন্ত অপক্ষো করব না, হয়ত তার আগইে আমাদরে ডজিটিাল বাংলাদশে প্রতষ্ঠিতি হব।ে
ঢাকা, ১৭ মে ২০১২ ॥ লখেক তথ্যপ্রযুক্তবিদি, কলামস্টি, দশেরে প্রথম ডজিটিাল নউিজ র্সাভসি আবাস-এর চয়োরম্যান-সাংবাদকি, বজিয় কীর্বোড ও সফটওয়্যার এবং ডজিটিাল বাংলাদশে ধারণা ও র্কমসূচীর প্রণতো ॥ ই-মইেল : সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স, ওয়বেপজে: িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ (২১ এপ্রলি ২০১২, ঢাকার ইঞ্জনিয়র্িাস ইনস্টটিউিশনে বাংলাদশে আওয়ামী লীগ আয়োজতি ডজিটিাল বাংলাদশে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বষিয়ক সমেনিাররে মূলপ্রবন্ধ।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন